একজন চাকুরী প্রার্থী কখন নিজেকে চাকুরী করার যোগ্য হিসেবে ভাবে? যখন সে গ্রাজুয়েশন কম্পিলিট করে ঠিক তখন থেকেই তার মাথায় চাকুরীর চিন্তা-চেতনা প্রবল হয়। তখন সে খোজে কিভাবে সহজে চাকুরী পাওয়া যায়।এ অবস্থায় যদি তার একটা কোটা থাকে সেক্ষেত্রে কাজটি তার জন্য অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়.....
কিন্তু একজন কোটাধারী টাকা-পয়সার অভাবে গ্রাজুয়েশন কম্পিলিট না করে কি চাকুরী নিতে পারবে? উত্তর আসবে অবশ্যই "না"।
তাহলে এই কোটা সমাজকে কি দিচ্ছে? দিন শেষে যেই লাউ, সেই কদু নয় কি? অর্থাৎ যার লেখাপড়া করার সামর্থ আছে সে দিন শেষে চাকুরী পাবে,আর যার সামর্থ্য নেই সে পাবে না। সেখানে সে কোটাধারী হোক আর না হোক, সে কিন্তু চাকুরী পাচ্ছেই।
কিন্তু এই কোটা ব্যবস্থা যদি একজন ছাত্রের শিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে হয় তাহলে দিনশেষে সেও একজন চাকরিজীবী হতে পারে। একজন কোটাধারী শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শিক্ষাব্যয় যদি সরকার গ্রহণ করে তাহলে টাকার অভাবে কোনো কোটাধারী শিক্ষার্থী মাঝপথে ঝড়ে পড়বে না। আর কোটা পদ্ধতিটাও তখন বৈষম্য থাকবে না। কোটা ব্যবস্থাটা হবে আশীর্বাদ।
আমরা কোটা পদ্ধতি চাই, তবে তা চাকুরিতে নয় তা হোক শিক্ষা গ্রহনে..
No comments:
Post a Comment