আমার কলিজার টুকরা সব জায়গায় মধ্য মনি হতে চাইত, প্রাধান্য চাইত, শিরোনাম হতে চাইত।
আব্বগো, আল্লাহ রাহমানি রহিম বড়ই মেহেরবান। তোমাকে তিনিও বড় প্রাধান্য দিয়েছেন, পবিত্র রামাদানে, নাযাতের মহিমান্বিত বেজোড় রাতে তোমায় তিনি মেহমান হিসেবে কবুল করেছেন। আলহামদুলিললাহ!দুনিয়ায়ও তুমি শিরোনাম হয়ে গেলে।
সকাল সাতটা থেকে আট টার মধ্যে তোমাকে নিয়ে ওসমানী মে কলেজ হাসপাতালে গেলাম, কত আকুতি করলাম, ওরা নিলো না। রেফার করলো শামসুদ্দিন হাসপাতালে।
ইমারজেন্সীতে দাঁড়িয়ে রইলাম আধা ঘণ্টা, তারপর ডাক্তার এলো, বনধ দরজার ওপাস থেকে বলল এক নমবর ওয়াডে নিয়ে যান। শুধু এটুকু বলার জন্য আরো নীল হলো আমার বাবা।নিজে আমার সাথে আনা এম্বুলেন্স এর করমিদের সাথে করে ট্রলি নিয়ে ছুটছি, কেউ বলে দেবার, দেখিয়ে দেবার নেই এক নম্বর কোন দিকে। উদভ্রান্তের মতো ছুটছে এক ডাক্তার বানানোর কারিগর তার ডাক্তার বাবাকে নিয়ে। যে বাবা আজীবন শুধু বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিয়ে গেলো হাজার হাজার মানুষের, যে বাবা আজীবন heath sector এর অনিয়ম দূর করতে লড়েছে, সরকারী কর্মকর্তার responsibility পালন করতে আমাদেরকে ভূলে যেতো।না শুধু গরীববের না, সমাজের সব সুযোগ সনধানীরা জানতো ডাক্তার মতিন পয়সা নেবেন না।
trolley ঠেলছি, Oxygen silynder ambulance এ fixed, নীল গাঢ় হচ্ছিল...। ওয়াডে পৌছুলাম, নোংরা বেডে আমার perfectionist বাবাকে নিজে টেনে হিঁচড়ে নামালাম। বলা হলো যান oxygen musk কিনে আনেন। নীল গাঢ়তর হচছে। কতশত ডাক্তার কে ফোন দিলাম কেউ ধরল না। তিন চার ঘন্টা এভাবেই কাটলো।
কোন ডাক্তার এলো না। শুধু oxygen দিয়ে বসে রইলাম।
তারপর Director brig gen Dr Yunus সাহেবের কানে যখন ফোন গেলো তিনি খুব সহযোগিতা করলেন। তার order এরও এক ঘন্টা চলে যাবার পর এক ওয়াড বয় এসে বলল রুগী ICU তে নেবো, কিন্তু trolley কে ঠেলবে? আমি বল্লাম আমি। আবার ছুটে চলছি। বেলা দুটোয় ডাক্তার এলেন। আমাকে বললেন ICU bed occupied , তবে আমি চাইলে একটা alternative ব্যবসতা হবে, কিন্তু রুগীর যে condition, তাতে লাভ হবে না। লাভ না হবার condition তো তৈরী করলেন, anoxic organ damage তো করা শেষ।
আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ, আমাকে এক শহীদ পিতার গর্বিত সন্তান বানানোর পথ সুগম করায় সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য।
ধন্যবাদটা শুধু brig gen সাহেবকে দিবো না।
বিঃ দ্রঃ বাবার সরকারি চাকরির কঠিনতর দায়িত্ব পালন, আপোষহীন নীতির জন্য বারবার অনাকাঙ্ক্ষিত বদলী, অল্প কয়েকটা টাকায় সংসার চালানো দেখে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ জয়েন করলাম। বিশটি বছর
দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আজ জানলাম আমি এ দেশের এক অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান।
হে দেশ তোমার এই অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানের অসীম ঘৃণা গ্রহণ কর। আমার বাবার সকল বংশধর তোমাকে আজীবন ঘৃণা জানাবে।
লেখাটি ডা. রাবেয়া বেগম (গাইনোকলজিস্ট) এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া। উল্লেখ্য গত ২৩শে মে তার পিতা ডা. আব্দুল মতিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
আব্বগো, আল্লাহ রাহমানি রহিম বড়ই মেহেরবান। তোমাকে তিনিও বড় প্রাধান্য দিয়েছেন, পবিত্র রামাদানে, নাযাতের মহিমান্বিত বেজোড় রাতে তোমায় তিনি মেহমান হিসেবে কবুল করেছেন। আলহামদুলিললাহ!দুনিয়ায়ও তুমি শিরোনাম হয়ে গেলে।
সকাল সাতটা থেকে আট টার মধ্যে তোমাকে নিয়ে ওসমানী মে কলেজ হাসপাতালে গেলাম, কত আকুতি করলাম, ওরা নিলো না। রেফার করলো শামসুদ্দিন হাসপাতালে।
ইমারজেন্সীতে দাঁড়িয়ে রইলাম আধা ঘণ্টা, তারপর ডাক্তার এলো, বনধ দরজার ওপাস থেকে বলল এক নমবর ওয়াডে নিয়ে যান। শুধু এটুকু বলার জন্য আরো নীল হলো আমার বাবা।নিজে আমার সাথে আনা এম্বুলেন্স এর করমিদের সাথে করে ট্রলি নিয়ে ছুটছি, কেউ বলে দেবার, দেখিয়ে দেবার নেই এক নম্বর কোন দিকে। উদভ্রান্তের মতো ছুটছে এক ডাক্তার বানানোর কারিগর তার ডাক্তার বাবাকে নিয়ে। যে বাবা আজীবন শুধু বিনা পয়সায় চিকিৎসা দিয়ে গেলো হাজার হাজার মানুষের, যে বাবা আজীবন heath sector এর অনিয়ম দূর করতে লড়েছে, সরকারী কর্মকর্তার responsibility পালন করতে আমাদেরকে ভূলে যেতো।না শুধু গরীববের না, সমাজের সব সুযোগ সনধানীরা জানতো ডাক্তার মতিন পয়সা নেবেন না।
trolley ঠেলছি, Oxygen silynder ambulance এ fixed, নীল গাঢ় হচ্ছিল...। ওয়াডে পৌছুলাম, নোংরা বেডে আমার perfectionist বাবাকে নিজে টেনে হিঁচড়ে নামালাম। বলা হলো যান oxygen musk কিনে আনেন। নীল গাঢ়তর হচছে। কতশত ডাক্তার কে ফোন দিলাম কেউ ধরল না। তিন চার ঘন্টা এভাবেই কাটলো।
কোন ডাক্তার এলো না। শুধু oxygen দিয়ে বসে রইলাম।
তারপর Director brig gen Dr Yunus সাহেবের কানে যখন ফোন গেলো তিনি খুব সহযোগিতা করলেন। তার order এরও এক ঘন্টা চলে যাবার পর এক ওয়াড বয় এসে বলল রুগী ICU তে নেবো, কিন্তু trolley কে ঠেলবে? আমি বল্লাম আমি। আবার ছুটে চলছি। বেলা দুটোয় ডাক্তার এলেন। আমাকে বললেন ICU bed occupied , তবে আমি চাইলে একটা alternative ব্যবসতা হবে, কিন্তু রুগীর যে condition, তাতে লাভ হবে না। লাভ না হবার condition তো তৈরী করলেন, anoxic organ damage তো করা শেষ।
আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ, আমাকে এক শহীদ পিতার গর্বিত সন্তান বানানোর পথ সুগম করায় সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য।
ধন্যবাদটা শুধু brig gen সাহেবকে দিবো না।
বিঃ দ্রঃ বাবার সরকারি চাকরির কঠিনতর দায়িত্ব পালন, আপোষহীন নীতির জন্য বারবার অনাকাঙ্ক্ষিত বদলী, অল্প কয়েকটা টাকায় সংসার চালানো দেখে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ জয়েন করলাম। বিশটি বছর
দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আজ জানলাম আমি এ দেশের এক অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান।
হে দেশ তোমার এই অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানের অসীম ঘৃণা গ্রহণ কর। আমার বাবার সকল বংশধর তোমাকে আজীবন ঘৃণা জানাবে।
লেখাটি ডা. রাবেয়া বেগম (গাইনোকলজিস্ট) এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া। উল্লেখ্য গত ২৩শে মে তার পিতা ডা. আব্দুল মতিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।