কভিড-১৯ চিকিৎসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রাইভেট মেডিকেল সেক্টরকে। খুবই ভালো এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হিসেবেই মনে করি।
এমন একটা নির্দেশনা কিংবা অনুমতি প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল দেশের জন্য।
যেহেতু আমি নিজেই একজন হসপিটালের কর্মী সেহেতু এই বিষয়ে রয়েছে বাস্তব অভিজ্ঞতা। প্রাইভেট হসপিটালগুলোতে বিগত মার্চ মাস থেকেই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে জ্বর, সর্দি, কাশির রোগী ভর্তি না করানোর ব্যাপারে, কারন করোনা সন্দেহ। এখন যেহেতু এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাই এই ব্যাপারে কোন হসপিটাল অবহেলা করার সুযোগ থাকবে না নিসন্দেহে।
ভয়ের জায়গা হলো কভিড-১৯ একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে ও মরনব্যাধী রোগ। সরকারী হসপিটালে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীদের জন্য সরকারীভাবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, সুরক্ষা সামগ্রী সহ স্বাস্থ্যবীমা ঘোষনা করেছে ইতিমধ্যেই। যেখানে প্রাইভেট সেক্টরগুলোর অনেক প্রতিষ্ঠানেই পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রীই নেই। আর সেখানে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সহ বীমা ত দুরাশা।
প্রাইভেট মেডিকেলে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী, স্বাস্থ্য বীমার ব্যবস্থা না করে এমন নির্দেশনা জারি কি আদৌ কোন জনকল্যান বয়ে আনবে নাকি এই সেক্টরটিকেও করুন পরিণতির দিকে ধাবিত করবে, তাও ভেবে দেখতে হবে?
সরকারের উচিত এসকল প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যাবস্থা করা সহ স্বাস্থ্যবীমার আওতায় নিয়ে আসা। এতে প্রাইভেট মেডিকেলের স্বাস্থকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্ত কাজ করবে এবং এই বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস।
তাই যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে প্রাইভেট সেক্টরের এই বৈশ্বিক মহামারীর চিকিৎসা সেবা চালুর সিদ্ধান্ত প্রনয়ন কারা উচিত। নয়তো আমাদের অবস্থা হবে ভয়াবহ.....
লেখক : অনলাইন এক্টিভিস্ট
No comments:
Post a Comment